দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক চিকিৎসা সেবায় কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর কার্যকারিতা ও সীমাবদ্ধতা তুলে ধরতে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পিএইচডি সেমিনার।
শনিবার (৫ জুলাই) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন ভবনে অর্থনীতি বিভাগের সেমিনার কক্ষে এই পিএইচডি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ‘দ্য পারফরম্যান্স ইভ্যালুয়েশন অব কমিউনিটি ক্লিনিক সার্ভিসেস ইন বাংলাদেশ: এন ইকোনোমেট্রিক অ্যানালাইসিস’ শীর্ষক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনীতি বিভাগের পিএইচডি ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নিলুফার ইয়াসমিন। গবেষণাটির তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীশ শর্মা।
উপস্থাপিত গবেষণায় দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর স্বাস্থ্যসেবার মান ও কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করতে মেহেরপুর ও গাজীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষক জানান, কীভাবে এসব ক্লিনিক দেশের স্বাস্থ্যখাতে অবদান রাখছে এবং কোথায় কোথায় সেবার ঘাটতি রয়ে গেছে। পাশাপাশি, এসব ঘাটতি দূর করে কীভাবে প্রান্তিক জনগণের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়েও বিশদ আলোচনা করা হয়েছে।
গবেষণাটির তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক ড. দেবাশীশ শর্মা বলেন, “বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষের কাছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য যে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো কাজ করছে, তাদের বাস্তব কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করতেই এ গবেষণা করা হয়েছে। আজকের সেমিনারে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে যে মতামত এসেছে, তা একত্র করে কাজটিকে আরও শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করানো যাবে। এ গবেষণাটি ভবিষ্যতের নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। আমি ব্যক্তিগতভাবে গবেষক নিলুফার ইয়াসমিনকে ধন্যবাদ জানাই।”
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. পার্থ সারথি লস্কর। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বেগম রোকসানা মিলি। আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল ওয়াদুদ এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া।
এছাড়াও সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা গবেষণাটিকে সময়োপযোগী ও সমাজঘনিষ্ঠ উদ্যোগ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, এ ধরনের গবেষণা দেশের স্বাস্থ্যখাতে বাস্তবভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হবে।