প্রেমিকার বিয়ের দিনে তার একান্ত ভিডিও ও ছবি পাঠিয়ে বিয়ে ভাঙার অপচেষ্টা করেছিলেন প্রেমিক বিজিবি সদস্য। কিন্তু শেষমেশ নিজেই ধরা খেলেন স্থানীয়দের হাতে। শরীয়তপুর সদর উপজেলার মধ্য চরসুন্দী গ্রামে এমন ঘটনা ঘটে। এ খবরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ এসে ওই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আটক ব্যক্তির নাম সুলাইমান মুন্সী (৩২)। তিনি শরীয়তপুর পৌরসভার কাশাভোগ এলাকার মোতালেব মুন্সীর ছেলে এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর কলেজের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন বিজিবি সদস্য সুলাইমান। নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে মেয়েটিকে প্রেমের জালে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। মেয়েটির অজ্ঞাতে গোপনে সেই অন্তরঙ্গ মুহূর্ত ভিডিও ধারণ করেন তিনি।
পরবর্তীতে শিক্ষার্থী জানতে পারেন, সুলাইমান বিবাহিত এবং তার স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। প্রতারণা বুঝতে পেরে সম্পর্ক থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। পরে তার পরিবার মেয়ের বিয়ের আয়োজন করে।
রোববার (৬ জুলাই) ছিল কলেজছাত্রীটির বিয়ের দিন। ওইদিন সকালে বিয়ের পাত্রের মোবাইলে মেয়ের ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে দেন সুলাইমান। এরপর সরাসরি কনের বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধের অপচেষ্টা চালান। এ সময় বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধাওয়া দেয়। এক পর্যায়ে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, ‘সুলাইমান আমার সরলতার সুযোগ নিয়েছে। এখন সে আমার বিয়ে ভাঙার চেষ্টা করছে। আমি এর ন্যায়বিচার চাই।’
তার বাবা-মা জানান, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে প্রতারণা করে প্রেমের সম্পর্ক করেছে, টাকা নিয়েছে। এখন বিয়ের দিন ভিডিও ছড়িয়ে আমাদের পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করেছে। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
ওসি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। আটক বিজিবি সদস্য সুলাইমান মুন্সীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’