আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নিতে যাচ্ছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই শপথ গ্রহণের ঠিক পাঁচ দিন আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির চুক্তিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। ১৫ মাসের মর্মান্তিক সহিংসতা এবং ৪৬ হাজারের অধিক প্রাণহানির পর এই যুদ্ধবিরতির পুরো কৃতিত্ব দাবি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। চুক্তি ঘোষণার পর থেকে গাজা উপত্যাকায় হামলা চালিয়ে ৩০ ফিলিস্তিনি নাগরিককে হত্যা করা হয় বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সোশ্যাল ট্রুথে লিখেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে জিম্মিদের জন্য আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছেছি। জিম্মিরা শিগগিরই মুক্তি পাবে। ধন্যবাদ। আরেক পোস্টে ট্রাম্প এই চুক্তির পুরো কৃতিত্ব দাবি করেছেন।
নভেম্বরে ঐতিহাসিক জয়ের কারণে এই যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ১৫ মাসের যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হামাস এবং ইসরায়েল একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছেছে।
৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে চলমান যুদ্ধ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর এই চুক্তিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল, যার অন্যতম মধ্যস্থতাকারী ছিল কাতার।
এই চুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে পৃথক বৈঠকের পর উভয় পক্ষ গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে চুক্তিতে সম্মত হয়েছে”।
যুদ্ধবিরতির খবর জানার পর গাজায় ফিলিস্তিনিদের অনেককে রাস্তায় উল্লাস করতে দেখা গেছে।
বিবিসি জানিয়েছে, আগামী ১৯ নভেম্বর থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। প্রথম পর্যায়ে ছয় সপ্তাহের একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে। এই সময়ে হামাস ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে।
প্রতিজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ইসরায়েল বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে।