চলতি আসরের ক্লাব বিশ্বকাপের ট্রফি কোনদিকে যাচ্ছে ট্রফি, লন্ডন না প্যারিস– এমন ভাবনায় অপেক্ষার প্রহর গুণছেন ফুটবল প্রেমিরা। ফরাসি ফুটবলের রাজা পিএসজি এবার দারুণ ছন্দে ফিরেছে। ইউরোপের শ্রেষ্ঠ দল হিসেবে নিজেদের আসন পোক্ত করছে টানা কয়েকটি অর্জনে। ফ্রেঞ্চ লিগ, কাপ ও সুপার কাপের পর প্রথমবারের মতো, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে নিয়েছে ক্লাব ফুটবলের নতুন রাজা হিসেবে ঘুরে দাঁড়ানো দলটি।
প্রতিপক্ষ হিসেবে কম যায় না ফরাসি জায়ান্টরা, ফের অপেক্ষা আরেকটি ট্রফি ঘরে তোলার।
বাংলাদেশ সময় রাত ঠিক ১টায় ব্লকবাস্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে পিএসজি ও চেলসি। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন সংস্করণের ৩২ দলের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে নিউজার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে।
বিশ্বকাপ ট্রফির পাশাপাশি ফাইনালে জিতলে মিলবে বাড়তি ৪০ মিলিয়ন ডলার প্রাইজমানি। ফাইনালে ওঠার পথে পিএসজি ১০৭.৭ মিলিয়ন ডলার ও চেলসি ৮৯.৫ মিলিয়ন ডলার প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে। চ্যাম্পিয়ন হলে সব মিলিয়ে পিএসজি পাবে ১৪৭.৭ মিলিয়ন ডলার এবং চেলসি পাবে ১২৯.৫ মিলিয়ন ডলার।
রাত ১ টার পর্যন্ত অপেক্ষার পর কে হাসবে শেষ হাসি, সর্বজয়ী পিএসজি কী বিশ্বসেরা হয়ে উঠবে নাকি নতুন করে নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দিবে চেলসি! ভাবনাটা কিছুটা কঠিন মনে হলেও অসম্ভব হিসেবে মনে করেন না ব্লুজ কোচ এনজো মারেস্কা।
তার ভাষ্য,‘শুধু ইউরোপ নয়, এ মুহূর্তে বিশ্বের সেরা ক্লাব পিএসজি। সত্যিই তাদের খেলা উপভোগ করি। তবে প্রতিটি ম্যাচের গল্পই আলাদা। সেরাটা দিয়ে ফাইনালের গল্পটা আমরাই লিখতে চাই।’
আসরে বোতাফোগোর কাছে একমাত্র হার বাদ দিলে পুরো আসরে পিএসজির সামনে কেউই শক্ত প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। এই তালিকায়- লিওনেল মেসির ইন্টার মিয়ামির পাশাপাশি আতলেতিকো মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদের মতো তারকাঠাসা দলও রয়ে গেছে। লুইস এনরিক আগেই শক্তিমত্তার জানান দিয়ে রেখছিল। ঠিক বিপরীত প্রান্তে ফাইনালে ওঠার পথে বড় কোনো প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে হয়নি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এবার চতুর্থ হওয়া চেলসিকে।
বল মাঠে গড়ানোর আগেই কোনো নিজেদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভাবতে নারাজ পিএসজি কোচ, ঐতিহাসিক মৌসুমটা সম্ভাব্য সেরাভাবে শেষ করতে চান লুইস এনরিক।