উড়তে থাকা পিএসজির ঘটেছে ছন্দ পতন। রোববার মধ্যরাতে অপেক্ষার পর শেষ হাসি হেসেছে চেলসি সমর্থকরা। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে পিএসজির বিপক্ষে দাপুটে জয় তুলে নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপার ঘরে তুললো ইংলিশ জায়ান্টরা।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত রাত ১ টায় শুরু হয় শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ। প্রথমার্ধেই পিএসজির রক্ষণভাগে আক্রমণ চালাতে থাকে চেলসি। কোল পালমারের ধারাবাহিক আক্রমণে প্রথম গোলের দেখা পায় ২২ মিনিটে, পালমারের নিখুত ফিনিশিংয়ে লিড নেয় ইংলিশ জায়ান্টরা। আর এই গোলের মধ্য দিয়ে বড় এক ধাক্কা খায় ফরাসি ক্লাবটি। এরপর কুলিং ব্রেকে যায় দু’দলই– তবে ফিরে এসে আরও উজ্জীবিত হয় চেলসি।
৩০ মিনিটের মাথায় ফের আক্রমণ, সেই পালমার। স্কোরবোর্ডে চেলসি ২, পিএসজি শুন্য। পালমারের জোড়া গোলের পর রক্ষণভাগকে দৃঢ় করে এগোতে থাকে লুইস এনরিকের শিষ্যরা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। এবারও পালমার, সরাসরি গোলে না করেই বল এগিয়ে দিলেন ব্রাজিলিয়ান তরুণ হোয়াও পেদ্রোর দিকে। ব্যর্থ হয়নি পেদ্রোর দুর্দান্ত চিপ শট। চেলসি ৩ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায়।
ফিরে এসে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যায় ছন্দে থাকা ইউরো চ্যাম্পিয়নরা। চেলসির হয়ে মহাপ্রাচীর হয়েই দাঁড়িয়ে থাকে গোলরক্ষক রবার্ট সানচেজ। একের পর এক দুর্দান্ত সেভ পিএসজিকে পরাজয়ের দিকেই ঠেলে দেয়। শুধু গোল ক্ষরাতেই শেষ না, ম্যাচের ৮৪ মিনিটে নেভেস লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ে। ঘুরে দাঁড়ানোর শেষ সুযোগও যেন আর থাকে না, তখন কেবল সম্মানজনক হার নিয়ে ফেরার পালা।
চেলসির এবার নতুন রাজা হিসেবেই প্রতিষ্ঠায় ব্যস্ত। উয়েফা কনফারেন্স লিগে উড়ন্ত শুরু করে জয় তুলে আনা চেলসি এবার ক্লাব বিশ্বকাপে চমক দেখালো। পঞ্চম ক্লাব হিসেবে একাধিকবার ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ের গৌরব তাদেরই। প্রথম শিরোপা ঘরে তুলেছিল ২০২১ সালে। দ্বিতীয় শিরোপা তুলে নিলো পিএসজিকে কাঁদিয়ে।