ঢাকার উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগরকে রাজশাহীতে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেলে নগরীর সপুরা ঈদগাহে জানাজা শেষে সপুরা গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
নিহত তৌকিরের নানা আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, প্রথম জানাজা দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে ঢাকা সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর হেলিকপ্টারে তার মরদেহ রাজশাহীতে আনা হবে। বিকেলে সপুরা ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।
এদিকে সকাল থেকেই শুরুর হয়েছে পাইলট তৌকিরের কবর খনন। সকাল ১১টার দিকে নগরীর উপশহর এলাকায় অবস্থিত সপুরা গোরস্থানে গিয়ে দেখা যায় মসজিদের পাশে তার কবর খোঁড়া হচ্ছে।
তৌকিরের মৃত্যুতে রাজশাহীজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সকাল থেকেই নগরীর উপশহরের সপুরা এলাকায় তাদের ভাড়া বাসায় ভিড় জমাতে শুরু করেছেন আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও শুভানুধ্যায়ী। সবার কণ্ঠেই তৌকিরের জন্য শোক ও দোয়ার আবেদন। তার অকাল প্রয়াণে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন তৌকিরের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করেছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কালো পতাকা ও শোক ব্যানার দেখা গেছে।
তৌকির ইসলাম সাগর রাজশাহীতে শিক্ষাজীবনের সূচনা করেন। পরবর্তীতে তিনি পাবনা ক্যাডেট কলেজ হয়ে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে যোগ দেন।
তার আত্মীয়রা বলেছেন, এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া কষ্টের। প্রথম একা বিমান উড়ানোর আনন্দ আজ বিষাদে রূপ নিয়েছে। তার মৃত্যুতে দেশ হারাল এক প্রতিশ্রুতিশীল পাইলট, রাজশাহী হারাল এক গর্বিত সন্তান।