মেয়েদের এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইয়ের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আজ দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোুমুখি হবে বাংলাদেশ।
লাওসের ভিয়েনতিয়ানের নিউ লাওস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায়।
বাছাইপর্বে আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল সরাসরি চলে যাবে মূলপর্বে। বাকিদের মধ্য থেকে সেরা তিনটি রানার্সআপ দলও জায়গা করে নেবে।
এদিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক লাওসকে ৩-১ এবং দ্বিতীয় ম্যাচে পূর্ব তিমুরকে ৮-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে পিটার বাটলারের শিষ্যরা।
যদিও বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া দু‘দলেরই পয়েন্ট সমান ছয়। গোল পার্থক্যও সমান। তবে প্রতিপক্ষের জালে গোল দেওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে লাল-সবুজের মেয়েরা। কোরিয়া তিমুরকে ৯-০ এবং লাওসকে ১-০ গোলে হারিয়েছে। ফলে এক গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ।
অন্যদিকে আজ দক্ষিণ কোরিয়াকে রুখে দিতে পারলে বাংলাদেশ হবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। ফলে সরাসরি অংশগ্রহন করতে পারবে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ ২০২৬ এ্র।
এছাড়া টুর্নামেন্টের বাইলজ অনুযায়ী, একাধিক দলের সমান পয়েন্ট হলে হেড টু হেড বিবেচনায় আসবে। আজ ড্র হলে হেড টু হেড একই থাকছে। এরপর গ্রুপের মধ্যে গোল ব্যবধান। সেটাও সমান। তখন বাইলজের ৭.২.২.৬ ধারা অনুযায়ী বেশি গোলের হিসাব হবে। বাংলাদেশ দুই ম্যাচে করেছে ১১ গোল, কোরিয়া ১০। এই হিসাবে বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে।
আর যদি চ্যাম্পিয়ন না হতে পারে তাহলে সেরা রানার্সআপ দলের মধ্যে এক কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়বে বাংলাদেশ। কারণ, আট গ্রুপের মধ্যে ডি-গ্রুপসেরা রানার্সআপের দৌড় থেকে ইতোমধ্যে ছিটকে গেছে। কারণ, এই গ্রুপে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলের পয়েন্ট মাত্র চার। ভারত ও মিয়ানমারের মধ্যে শেষ ম্যাচ। ফলে এই গ্রুপের রানার্সআপ দলের ছয় পয়েন্ট হওয়ার সুযোগ নেই।
যেখানে ইতোমধ্যে ছয় পয়েন্ট রয়েছে পাঁচ দলের। ফলে ডি-গ্রুপ বাদ দিয়ে অন্য সাত গ্রুপের মধ্যে সেরা তিন রানার্সআপ হওয়ার লড়াই চলবে। বর্তমান পয়েন্ট টেবিল অনুযায়ী ছয় পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ পজিশনে রয়েছে চাইনিজ তাইপে (সি-গ্রুপ +৩), লেবানন (ই-গ্রুপ +২), ইরান (এফ-গ্রুপ +৫), জর্ডান (জি-গ্রুপ +১১), দক্ষিণ কোরিয়া (এইচ-গ্রুপ +১০)।
উল্লেখ্য, গোল ব্যবধানে কোরিয়া ও জর্ডান খানিকটা সুবিধাজনক অবস্থানে।