লাওসের দিনটা আজ অন্যরকম এক রেকর্ড দিয়ে শুরু করতে পারতো বাঘিনীরা। বল মাঠে গড়ানোর ঠিক দেড় মিনিটের মাথায় গোলপোস্ট লক্ষ্য করে এগিয়ে যায় সাগরিকা, কিন্তু স্কোরবোর্ড শুন্যই থাকে। তবে নিউ লাওস স্টেডিয়ামে প্রথম হাসিটা হাসে বাংলার তরুণীরা। শুরু থেকে ধারাবাহিক আক্রমণের ফলাফল উঠে আসে তৃষ্ণা চৌধুরীর পা থেকে। স্কোরবোর্ড ১ গোল জমা করে লিড নেয় বাংলাদেশ।
তবে বাংলাদেশের হাসি বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেয়নি কোরিয়ার মেয়েরা। ৪ মিনিট পরেই শোধ তুলে নেয়। ম্যাচের ১৮ মিনিটেই মাঠের ২ গোলে সমতা নেমে আসে, চুপচাপ দর্শক সারি।
বিরিতির আগে আক্রমণ এবং পালটা আক্রমণ চললেও গোলের দেখা পায়নি দুইপক্ষই। সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া।
তবে বিরতির পর মাঠে নেমেই ব্যবধান গড়ে দেয় কোরিয়ার মেয়েরা। ৪৭ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় কোরিয়া। এতেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এরপরই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় তারা। ফুটবলাররা যেন অপেক্ষা করছিলেন কখন শেষ বাঁশি বাজবে।
দ্বিতীয়ার্ধে প্রায় পুরো সময় বাংলাদেশ অর্ধেই খেলা হয়েছে। কোরিয়া ক্রমেই ব্যবধান বড় করেছে। ৬১ মিনিটে আরেকটি সংঘবদ্ধ আক্রমণে অধিনায়ক চো হেং আগুয়ান গোলরক্ষক স্বর্ণাকে পরাস্ত করে গোল করেন। দ্বিতীয় গোলটিও বাংলাদেশ এভাবে হজম করেছিল। বৃটিশ কোচ পিটার বাটলারের হাই লাইন ডিফেন্স থিউরি আজ মুখ থুবড়ে পড়েছে। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এই তত্ত্ব কার্যকর নয়। সেটা কোরিয়া চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে এক সঙ্গে দুই খেলোয়াড় বদলেও খেলার পরিস্থিতি আর বদল করতে পারেনিন বাটলার
৮৪ মিনিটের দিকে বাংলাদেশের ডিফেন্ডার কোরিয়ান ফরোয়ার্ডকে ফাউল করেন। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। কোরিয়ান অধিনায়ক পেনাল্টি থেকে স্কোরলাইন ৪-০ করেন। শেষ দশ মিনিটে আরো দুই গোল হজম করে বাংলাদেশ। লাওসে ভিয়েনতিয়েনে বাংলাদেশের শেষটা হলো দুঃস্বপ্নের মতোই।