নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার তরুণ সাংবাদিক, সমাজসেবক ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ভিডিপি) সদস্য মো. কায়েশ আহমেদ নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জিডিতে তিনি অভিযোগ করেন, মারামারির একটি ঘটনার ভিডিও ধারণ ও প্রকাশের পর থেকে তাকে হত্যার হুমকি, মিথ্যা মামলা ও অপপ্রচারের মুখে পড়তে হচ্ছে।
মো. কায়েশ আহমেদ দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ-এর কলমাকান্দা উপজেলা প্রতিনিধি, অনলাইন নিউজ পোর্টাল নেত্রকোনা লাইভ-এর সম্পাদক এবং স্বপ্নপুরী মানবকল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। পাশাপাশি নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ছাত্র এবং ভিডিপি সদস্য হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক, মানবিক ও আইন-শৃঙ্খলা সহায়ক কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন। তিনি অসহায়দের রক্তদান, বৃক্ষরোপণ, বন্যার্তদের ত্রাণ বিতরণসহ নানা সেবামূলক কাজে সক্রিয় থেকে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির গ্রাম প্রতিরক্ষা দল (সেবা) পদক লাভ করেন।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৬ আগস্ট ২০২৫ বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে সেহরাউন্দ এলাকায় এনসিপি নেতা মেহেদী হাসান ও তার পরিবারের ওপর নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কায়েশ আহমেদ হামলার অডিও-ভিডিও ধারণ করে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। পরে আহত মেহেদী হাসানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
পরবর্তীতে তিনি নেত্রকোনা লাইভ-এ “কলমাকান্দায় এনসিপি সদস্য ও তার পরিবারের উপর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের আক্রমণ” শিরোনামে ভিডিও প্রকাশ করেন। ওই প্রকাশনার পর থেকেই একদল প্রভাবশালী ব্যক্তি তাকে এবং তার পরিবারকে হত্যার হুমকি, মিথ্যা মামলা, মানহানি ও সামাজিক মাধ্যমে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী হিসেবে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
অভিযোগে তিনি আরও জানান, এর আগে ঈদের রাতে তার দোকান থেকে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার কম্পিউটার ও সরঞ্জাম চুরি হয়েছিল, যা নিয়েও তিনি থানায় অভিযোগ করেছিলেন। বর্তমানে তিনি ও তার পরিবার গভীর নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
মো. কায়েশ আহমেদ সাংবাদিক সুরক্ষা আইন অনুযায়ী নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
কলমাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওসি বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। যাচাই–বাছাই করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।