বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গুলিবর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার তদন্তে প্রাপ্ত মোস্তাফিজুর রহমান টুটু(৫৩), পিতা-মৃত গোলাম মহিউদ্দিন, মাতা-ফাতেমা বেগম, সাং-১৩৭ নং রাখালবাবু সড়ক, ফকির বাড়ি রোড, থানা- কোতয়ালী মডেল, জেলা-বরিশাল মেট্রো বরিশাল-বর্তমানে সাং- ফ্ল্যাট নং- এইচ/৩, বাড়ি নং- ১৩৫, ১২/এ পশ্চিম ধানমন্ডি, থানা-ধানমন্ডি, ডিএমপি-ঢাকা-কে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
ধানমন্ডি (ডিএমপি)) থানার মামলা (মামলা নং-৭, তাং- ১৯/০৯/২০২৪ খ্রি. ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড) মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়, যার তদন্ত করছে সিআইডি ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ বিভাগ।
ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ ইউনিটের একটি আভিযানিক দল ২৫/০৮/২৫ খ্রি. তারিখ দিবাগত রাতে ( অদ্য ২৬/০৮/২০২৫ খ্রি. তারিখ ভোর ০১.৫০ ঘটিকা) অভিযান পরিচালনা করে বাড্ডা থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত প্রাথমিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ছাত্র জনতার উপর হামলার কথা স্বীকার করেন। সাবেক মেয়র তাপসের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত এবং আন্দোলন দমন কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলেন।
মামলাটি তদন্তকালে জানা যায় গ্রেফতারকৃত আসামী মোস্তাফিজুর রহমান টুটু ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপসের বিশেষ প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিতত হয়ে ছাত্র জনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এবং তিনি মামলার ভিকটিম আব্দুল্লা সিদ্দিক হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত বলে তথ্য প্রমান পাওয়া যায়। গ্রেফতারকৃত আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন প্রক্রিয়াধীন।
রুজুকৃত মামলার ভিকটিম আব্দুল্লা সিদ্দিক এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে। আন্দোলনকারী ছাত্র জনতা আব্দুল্লা সিদ্দিককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরবর্তীতে আওয়ামীপন্থি সন্ত্রাসীরা ভিকটিমের মৃত দেহ গুম করার চেষ্টা করে। ভিকটিমের উল্লেখিত হত্যাকান্ড ও মৃত দেহ গুম করার চেষ্টার ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক ফাইয়াজ আহমেদ রাতুল বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে লিখিতভাবে অভিযোগ করলে বিজ্ঞ আদালতের আদেশে ধানমন্ডি থানায় সূত্রোক্ত মামলাটি রুজু হয়।
ইতোপূর্বে, ১৫ মে ২০২৫ খ্রি. তারিখে সাবেক মেয়র তাপসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এস এম কামাল হায়দার ও ১৭ জুন ২০২৫ খ্রি. তারিখ মো. খোরশেদ আলম (৪৮)–কে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। জানা যায় যে, তাপসের সহযোগী হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমান টুটু বেশ প্রভাবশালী ও ক্ষমতাশীল ছিলেন। মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাপর অভিযুক্তদের সনাক্ত ও গ্রেফতার করার স্বার্থে তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রেখেছে সিআইডি ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ বিভাগ।