রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের রোগীদের জন্য প্রায় ১৭ কোটি টাকার ওষুধ অনুদান দিয়েছে নেদারল্যান্ডসের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ব্যতিক্রমী এই সহযোগিতা এসেছে রামেকের এক ইন্টার্ন চিকিৎসকের একক উদ্যোগে।
এই উদ্যোগের মূল উদ্যোক্তা শীর্ষ শ্রেয়ান।তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ৬১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে ইন্টার্ন চিকিৎসক।
জানা জায়, বিদেশি কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে এই ওষুধ পাওয়ার ব্যবস্থা করেন তিনি।
এদিকে গত ২০ আগস্ট ঢাকায় ওষুধের চালান পৌঁছায় এবং ২৫ আগস্ট রাজশাহী মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ তা বুঝে নেয়।
অনুদান পাওয়া ওষুধগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অ্যাল্টেপ্লেস (Alteplase)— একটি উচ্চমূল্যের জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, যা স্ট্রোক ও হৃদরোগের জরুরি চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। সাধারণত স্ট্রোকের ৪ থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যে এই ওষুধ প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে সময়মতো রোগী না পৌঁছানোয় এর ব্যবহার সীমিত হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ওষুধটিকে হৃদরোগ চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য অনুমতি চাওয়া হলে তা মঞ্জুর করা হয়।
এই উদ্যোগে শীর্ষ শ্রেয়ানকে সহায়তা করেছেন রাজশাহী মেডিকেলের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. আজিজুল হক (আজাদ)। তিনি বলেন, “এই ওষুধগুলো দিয়ে প্রায় ৫০০ জন রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। ওষুধের মেয়াদ ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত।”
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ বলেন, “এত বড় পরিমাণ ওষুধ এর আগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কখনো আসেনি। এটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় ও অনুকরণীয় একটি উদ্যোগ।”
একজন তরুণ চিকিৎসকের নিষ্ঠা ও উদ্যোগ দেশের একটি বৃহৎ সরকারি হাসপাতালে শত শত রোগীর সুচিকিৎসার সুযোগ এনে দিয়েছে, যা নিঃসন্দেহে একটি অনুপ্রেরণার দৃষ্টান্ত।