লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছন, গভীর ষড়যন্ত্র চলছে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা যাতে না হয়, জনগণের ভোটের অধিকার যাতে প্রতিষ্ঠিত না হয়। নির্বাচিত সরকার যাতে না আসতে পারে, সেজন্য কঠিন ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করবার জন্য আপনাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
শুক্রবার(৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হাজিরপাড়া হামিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কালকে এক দলের এক নেতা বললেন আমরাতো পিআর বুঝি, আমরা আগে ব্যক্তিকে ভোট দিতাম, এখন দলকে ভোট দেবো। ওই নেতা জাতীয় ঐক্যমত কমিশনে বলে আসছেন নিম্ম কক্ষে পিআরের প্রয়োজন নেই, উচ্চকক্ষে পিআর দেওয়ার জন্য। এখন বলেন পিআরতো সোজা আগে নেতাকে ভোট দিতাম এখন দলকে ভোট দেবো। এক মুখে কয় কথা। আবার ওই নেতার দল ৩০০ আসনে নমিনেশন দিয়েছেন, নমিনেশন দিলেন কেন?
আহমেদ আযম একটি দলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করতে কি আপনাদের ভালো লাগে? আমরাতো দেখেছি ৭১ এ জনগণের সঙ্গে বেঈমানী করেছেন, প্রতারণা করেছিলেন, আমরা আপনাদের চিনি।
স্পষ্ট বলতে চাই পিআর এ এ্যানি চৌধুরীকে এই চন্দ্রগঞ্জে দেব নাকি ভালাগঞ্জে দেবে, এটাতো আমরা জানি না। কিন্তু আমরা আমাদের সন্তানকে আমাদের নেতাকে আমাদের এলাকায় এমপি হিসেবে চাই। অতএব ওই কাল্পনিক পিআরের চিন্তা ভুলে যান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আযম আরও বলেন, আপনি পিআর বুঝেন? আপনি বললেন আপনি বুঝেন। আপনি ওইখানে থেকে নির্বাচন করবেন, কয় ভোট পাবেন জানি না, আপনার দল যদি কিছু ভোট পায়, আপনাকে কোথায় এমপি হিসেবে দিবে আপনিও জানেন না। এই যে বিভ্রান্তি পিআরের নামে গভীর ষড়ন্ত্র। দেশের ভেতরে এবং দেশের বাহিরে ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ষড়যন্ত্র করছে পলায়নরত ফ্যাসিবাদী শক্তি ও একাত্তরের ওই পরাজিত শক্তি।
১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই লক্ষ্মীপুরের ৫৬ জন নেতা গুম খুনের শিকার হয়েছে। ৫৬ টি পরিবার যারা গুম হয়ে গেছে আজ পর্যন্ত তারা আশায় রয়েছে তাদের সন্তান, স্বামী, পিতা, ভাই কবে ফিরে আসবে। ফিরে আসছে না। যুগ পার হয়ে যাচ্ছে ফিরে আসছে না। কবে এই গুম খুনের বিচার হবে, আমরা নুন্যতম বিচারটি দেখে যাবো। যারা নিজেদেরকে আত্মহুতি দিয়েছেন গণতন্ত্রের জন্য, সেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে, আমাদের দল বিএনপি সরকার গঠন করবে। ওই ৫৬টি পরিবারের মুখে হাসি ফুটাবে।
তিনি বলেন, তারা এই বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে সেজন্য আপনাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ওই যষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। ৫ আগস্টে ছাত্র জনতার যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, তার পেছনের মহানায়ক তারেক রহমান। ভবিষ্যতেও তারেক রহমানের নেতৃত্বে এইদেশে গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠা পাবে, জনগনের ভোটের অধিকার নস্যাতের সকল ষড়যন্ত্র ভেস্তে যাবে।
সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক এম বেল্লাল হোসেন (ভিপি)র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ ভিপি হারুন, ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, বাফুফের সহ-সভাপতি মো. ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট হাছিবুর রহমান, সদস্য সচিব শাহাবুদ্দিন সাবু প্রমুখ।