ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোটে অব্যবস্থাপনা এবং কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এনেছেন তিনটি প্যানেলের তিন হেভিওয়েট প্রার্থী।
স্বতন্ত্র ঐক্যজোটের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা গণমাধ্যমকে বলেন, তাদের পোলিং এজেন্টদের পরিবর্তন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যেসব এজেন্টদের আমরা মেয়েদের হলে দিয়েছি, তাদের ছেলেদের হলে দেওয়া হয়েছে। যাকে ছেলেদের হলে দিয়েছি তাকে মেয়েদের হলে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সকালে সমাধান করবে বললেও করেনি। আমরা সকালে এসে দেখি বিশৃঙ্খল অবস্থা। পরে আমাদের বিষয়টি সমাধান করতে হয়েছে।’
ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ তাদের পোলিং এজেন্টকে বের করে দিয়ে ছাত্রদলের পোলিং এজেন্টকে সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। এ ধরনের আচরণকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দ্রুত পদক্ষেপ না নিয়ে প্রশাসনের নীরব ভূমিকা দুঃখজনক’।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদেরও প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ এনেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে তিনি এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, নির্বাচন কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভাগাভাগি করে শিবির ছাত্রদলকে নির্বাচনে কারচুপি করতে, অনিয়ম করে সহযোগিতা করেছে।
সার্বিক বিষয়ে চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মো. জসীম উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীরা স্বতস্পূর্তভাবে ভোট দিচ্ছে। বড় ধরনের কোনো ব্যতয় ঘটেনি। দুটি কেন্দ্র থেকে যে অভিযোগ এসেছে তার একটিতে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, অন্যটিতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।