আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জলদস্যুদের মতো তেল চুরি করছে বলে মন্তব্য করেছে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে বলছে, বলছে, সিরিয়া-ইরাক সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তেল লুণ্ঠন ‘জলদস্যুতার কাজ এবং ঔপনিবেশিক যুগে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা’।
শনিবার (৮ অক্টোবর) সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক টুইট বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নতুন করে তেল চুরির অভিযোগ তোলা হয়। এর আগেও দেশটি একই কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছে।
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের এসব কর্মকাণ্ডের জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে নিন্দা প্রস্তাব জানাতে আহ্বান জানায় সিরিয়া।
সিরিয়ার সরকারী বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, জ্বালানি সমৃদ্ধ জাজিরা অঞ্চল থেকে তেল বোঝাই ৫০ টি ট্যাংকারের একটি কনভয় শুক্রবার অবৈধ মাহমুদিয়া সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে সিরিয়া ত্যাগ করে এবং ইরাক অভিমুখে চলে যায়।
সানা উল্লেখ করেছে যে, তথাকথিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সের সাথে যুক্ত মার্কিন মদদপুষ্ট এবং কুর্দি নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসীরা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সিরিয়ার অপরিশোধিত তেল চুরিতে মার্কিন বাহিনীকে সহায়তা করছে।
সিরিয়ার তেল ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১১ সাল থেকে ২০২২ সালের জুন মাস পর্যন্ত সিরিয়ায় মার্কিন সৈন্যদের অবৈধ মোতায়েন এবং তেল পাচারের কারণে ১০৭.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়েছে সিরিয়ার।